আমরা জানি রাষ্ট্র সঙ্ঘ থেকে ১৯৭২ সালে ৫জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন বিভিন্ন বিষয়ে পালিত হচ্ছে এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবছর ৫৩ম পরিবেশ দিবসের বিষয় পরাস্ত কর প্লাস্টিক দূষণ।
২০১৮ সালেও পরিবেশ দিবসের আহ্বান ছিল প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ কর। সেই সময়ই পৃথিবীর স্থলে জলে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল মাইক্রো প্লাস্টিক কণা। মাইক্রো প্লাস্টিক কণার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে উন্নত দেশগুলির সরকার ধীরে ধীরে প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে আবার স্টিল বা কাঁচের পাত্র ব্যবহারে ফিরে যেতে শুরু করে।
কিন্ত ভারতের মত বিশাল জনসংখ্যার অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের দেশগুলির পক্ষে সহজ লভ্য এবং সুলভে প্রাপ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনা অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে ব্যয়বহুল স্টিল বা কাঁচের ব্যবহারে ফিরে যাওয়া সহজ হচ্ছে না।
কিন্ত বিগত সাত বছরে মাইক্রো প্লাস্টিক কণা পৃথিবীর স্থল জল কে মাত্রাতিরিক্ত দূষণেই আর সীমাবদ্ধ নেই এই মাইক্রো কণা আমাদের প্রাণীজগতের প্রশ্বাসে খাবারে পানীয়ের মধ্যদিয়ে দিয়ে শরীরের ভ্রূণ থেকে থেকে মস্তিষ্কের সর্বত্র ঢুকে পড়েছে।
এই ভয়ানক দূষণের বিরুদ্ধে আট থেকে আশী সকলকে সমবেত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে আর কাল নয় আজ থেকেই সমস্ত রকম প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে হবে আস্তে আস্তে বন্ধ করতে হবে। আমাদের সরকার কে আগামী প্রজন্মের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনের মাধ্যমে প্লাস্টিক নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।