সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

৫ টি অঞ্চল থেকে ১১০ জন

৮ ই জুন পূর্ব বর্ধমান জেলার কিশোর বাহিনীর পরিচালনায় সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পন্ন হোল। ৫ টি অঞ্চল থেকে ১১০ জন ভাই- বোন অঙ্কন, আবৃত্তি, সঙ্গীত, একক নৃত্য ও সমবেত নৃত্যে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে হয় প্রারম্ভিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন জেলার প্রধান পরিচালক গৌতম মজুমদার মহাশয়। শপথ বাক্য পাঠ করান জেলার মুখ্য সংগঠক শরৎ কুমার বাগ মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন কিশোর বাহিনীর রাজ্য কমিটির মুখ্য সংগঠক পীযূষ ধর, জেলা কমিটির সদস্য সীমা মণ্ডল, উত্তম দাস, সুধীর ধারা, দিলীপ মণ্ডল ও শুভঙ্কর দে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম হওয়া প্রতিযোগী রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

পলাশডিহা যুব গোষ্ঠী ক্লাবের ব্যবস্থাপনয় জেলা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

একই দিনে অর্থাৎ ৮ই জুন পশ্চিম বর্ধমান জেলা কিশোর বাহিনীর উদ্যোগে পলাশডিহা যুব গোষ্ঠী ক্লাবের ব্যবস্থাপনয় অনুষ্ঠিত হল জেলা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। জেলার ৬টি অঞ্চল থেকে দুই শতাধিকেরও বেশি প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সকাল ৮.৩০ থেকে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার থেকে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রা শেষ হয় প্রতিযোগিতাস্থলে। এরপর বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য মুখ্য সংগঠক পীষূষ ধর। জেলা কমিটির প্রধান পরিচালক নিরঞ্চন পাল ও মুখ্য সংগঠক প্রবোধ মণ্ডল সহ অঞ্চল ও জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

কুলটি আঞ্চলিক সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে গত ২৫শে মে অনুষ্ঠিত হলো ‘সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা’। আমাদের প্রাণের সংগঠন কিশোর বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য কার্যকরী পরিষদের সদস্য কল্যান দে। এই প্রতিযোগিতা গোটা কুলটি অঞ্চলে সাড়া এনে দিয়েছে। কুলটি অঞ্চল প্রতিযোগিতায় প্রায় ১৫০জন ভাইবোন অংশগ্রহণ করে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীরা অংশগ্রহণ করে ৮ ই জুন জেলা প্রতিযোগিতায়।

অন্ডাল আঞ্চলিক সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল ২৫ শে মে খান্দরা কমিউনিটি হলে। ঐদিন নৃত্য -সংগীত এবং আবৃত্তির প্রতিযোগিতা গুলি ৮০ জন ভাই বোনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৮ তারিখ থেকে শুরু করে ২৪শে মে পর্যন্ত এলাকার পাঁচটি শাখায় মোট ১৩২ জন ভাই বোন অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। মূল অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কিশোর বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক প্রকাশ সরকার (বিজুদা)। উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল, শেখ রবিউল ইসলাম, দীপক সরকার, পূর্ণেন্দু ভান্ডারী, পরিমল কর্মকার সহ দুর্গাপুর থেকে আগত বিচারক বৃন্দ এবং উপস্থিত ছিলেন সংগীতের বিচারক প্রগতি কর্মকার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অন্ডাল অঞ্চল কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা রাজ্য কার্যকরী পরিষদের সদস্য মিলন কর্মকার।

২৬শে মে বনপাশ কিশোর বাহিনীর সুকান্ত শাখার উদ্যোগে বনপাশ অঞ্চলে সম্প্রীতি সমাবেশ ও রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপিত হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শতাধিক ভাই-বোন ও অভিভাবক-অভিভাবিকা সম্প্রীতি পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে হরিবাটি স্ফুলিঙ্গ ক্লাবে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য সংগঠক শরৎ কুমার বাগ ও শাখার মুখ্য সংগঠক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ মহাশয়। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন শাখার প্রধান পরিচালক অসীম ঘোষ, অন্যান্য সংগঠক ও অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দ। ভাই-বোনেদের আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য সকলকে মুগ্ধ করে। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়। বনপাশ মিস্ত্রীপাড়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে পদযাত্রা থামে। সেখানেও আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে হয় রবীন্দ্র-নজরুল বন্দনা। সম্প্রীতিই ছিল সমগ্র অনুষ্ঠানের মূল বিষয়। পদযাত্রার মাধ্যমে এই সম্প্রীতির বার্তাই বারবার প্রচারিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়।

৩রা জুন কিশোর বাহিনী ইস্পাত অঞ্চলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অন্যতম বিষয় অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হোল মিত্রমেলা কিশোর বাহিনীর মঞ্চে। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও জেলা কমিটির সদস্য মিলন কর্মকার। এছাড়া জেলা কমিটির উপদেষ্টা কালীশঙ্কর ব্যানার্জী সহ জেলা কমিটির সদস্য সমীর বিশ্বাস ও অর্পিতা দত্ত উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন সুমন দত্ত। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে ১৬ই আগস্ট এই মঞ্চেই।

কিশোর বাহিনী দুর্গাপুর ২ পূর্ব অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল ২৪ ও ২৫শে মে। অঙ্কন প্রতিযোগিতা হয় ২৪ তারিক দেশবন্ধু নগর কলোনী মু্ক্তাঙ্গনে কিশোর বাহিনীর শাখাতে। বাকী বিষয়ের প্রতিযোগিতা হয় রায়ডাঙ্গা শাখায়। বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন জেলার প্রধান পরিচালক নিরঞ্জন পাল। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ও কবি সলিল চৌধুরী প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে দুই কবির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই প্রতিযোগিতায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য কল্যাণ দে, জেলা কমিটির সদস্য উল্লাস কর দে, সাধন সামন্ত, অনিকেত রায়, শ্রেয়সী অধিকারী, বিনিতা চন্দ ও শ্রেয়সী সিং। মোট ১০২ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত সফলভাবে শেষ হয়।

কিশোর বাহিনীর দুর্গাপুর দুই পশ্চিম অঞ্চল কমিটির সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৭ ও ১৮ ই মে। ১৭ই মে পলাশডিহা কিশোর বাহিনী শাখাতে এবং ক্ষুদিরাম কিশোর বাহিনীর শাখাতে অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ই মে নেতাজি কলোনি কল্যাণ সংঘ ক্লাবের সাংস্কৃতিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পতাকা উত্তোলন করেন জেলার প্রধান পরিচালক শ্রী নিরঞ্জন পাল। শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা কমিটির সদস্য ও সাংস্কৃতিক আহ্বায়ক সম্পা দে। সলিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও রাজ্য কমিটির সদস্য কল্যাণ দে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণবেশ চ্যাটার্জী এবং উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য বরুণ দে সাধন সামন্ত ববিতা কর্মকার লিপিকা পাল। অঞ্চল কমিটির সদস্য এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান সর্বাত্মকভাবে সফল হয়।