বসন্তের রঙ খেলা

দিয়া বাগ, দশম শ্রেণি, মোহনপুর হাই স্কুল, ভাতার, পূর্ব বর্ধমান

আকাশ জুড়ে রঙের খেলা

মন যে আজ রঙ মহলা,

দিকে দিকে রঙের মিছিল-

খুলে দেয় হৃদয়- খিল।


ওরে আয়রে তোরা, খেলবি যদি

সামিল হব এই খেলায়,

রাঙিয়ে নিয়ে গোটা শরীর-

ভিজব রে আজ এই বেলায়।


দোয়েল, কোয়েল, কোকিলরা সব

গানের আসর বসায় হেথায়,

মধুর সুরে বসন্ত রব

আমজনতার মন মাতায়।


মন রাঙিয়ে দুঃখ ভুলি

আবির খেলি নেচে গেয়ে

সবাই এসো, দুয়ার খুলি-

বসন্ত বেলা যায় বয়ে।


ভ্‌লগার

প্রবাহনীল দাস, একাদশ শ্রেণি, বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন, রাঙামাটি, মেদিনীপুর

সেদিন ক্লাসে ঢুকেই ছোঁয়া লাগলো লাঠির ডগার

মারের ভয়ে পিছন ফিরে দৌড়ে যেতাম পগার-

-পারে, হঠাৎ ডাণ্ডা রেখে

স্যার বললেন মুখটা দেখে,

“আয় ভিতরে, আমি তোকেই ভেবেছিলাম ‘ভ্‌লগার’”


“ ‘ভ্‌লগার’ হলে সমস্যা কী?” রমেন বলে ওঠে,

প্রশ্ন শুনে স্যারের মুখে এবার কথা ফোটে।

“আজ সকালে একটা পাজি

ছড়িয়ে রেখে চরকি বাজি

নাস্তানাবুদ করেই আমায় কোথায় যেন ছোটে!”


ছেলেরা সব চুপ মেরেছে, বলল এবার পিউ,

“হঠাৎ করে এই পাজিটা ‘ভ্‌লগার’ হবে কিঁউ?”

“টিচার্স রুমে বলল দুবে,

আমায় নাকি ‘ইউটিউবে’

দেখে সবাই নিচ্ছে মজা, বাড়ছে নাকি ‘ভিউ’!”


মনের কথা

প্রত্যুষা মণ্ডল

ওইযে শোন বলছি তোমায়

হাসতে পারো না?

একলা বসে এককোণাতে

রামগড়ুরের ছানা।


কওনা কথা কারওর সনে,

মিশতে পারো নাকো।

ক্ষণে ক্ষণে  ঝিমিয়ে তাই

একলা পড়ে থাকো।


(আচ্ছা) বাদ দাও আজ কাজের কথা

মনের কথা বল,

একটা দিন ছুটি পেয়ে

নষ্ট নাহয় হল।


নিয়ম বেড়ি অন্ধকারে

তলিয়ে নাহয় যাক,

খেয়ালখুশির ইচ্ছেগুলোই

প্রাধান্য আজ পাক।