৯ই মার্চ কলকাতার ঐতিহাসিক ভারত সভা হলে সুকান্ত জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হোল। কিশোর বাহিনীর ভাইবোন, সংগঠক, অভিভাবক, পৃষ্ঠপোষক, শুভাকাঙ্খীদের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির পরিচালনায় আগামী এক বছর ধরে কবি সুকান্তের জন্মশতবর্ষ পালন করা হবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে।
১৩ই মার্চ দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের মিত্রমেলা কিশোর বাহিনীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হোল বসন্তোৎসব। এইদিন বিকালে শতাধিক সদস্য, সংগঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এলাকা পরিক্রমা করে। পথমাঝে চলতে থাকে সঙ্গীত নৃত্য আবৃত্তি। শোভাযাত্রা শাখার মাঠে শেষ হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির এক প্রাচীন লোকাচার ... ‘বুড়িপোড়া’। সদস্যরা প্রতীকীভাবে পুরোনো দুঃখ-কষ্ট, অসুন্দরতা ও অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করার শপথ নেয়। বসন্তোৎসবে সহযোগী হিসেবে ছিলেন শিবাজী ১৪-১৬ স্ট্রীট সমন্বয় ও আলাপন নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যরা।
বসন্তোৎসব মূলত ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার এক উৎসব। এটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।পশ্চিমবঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে এই উৎসব নতুন মাত্রা পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৩ সালে বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসবের সূচনা করেন, যা মূলত হোলির শান্ত-সৌম্য সংস্করণ। এখানে রঙ খেলা ছাড়াও নৃত্য, গান ও আবৃত্তির মাধ্যমে বসন্তকে বরণ করা হয়। বসন্তোৎসব কেবল ঋতুকে বরণ করার উৎসব নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
১২ই মার্চ সৃষ্টি কিশোর বাহিনীর পরিচালনায় সৃষ্টি, ক্ষুদিরাম ও রবীন্দ্র কিশোর বাহিনীর উদ্যোগে, অনুষ্ঠিত হল বসন্ত উৎসব। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রধান পরিচালক নিরঞ্জন পাল, জেলা সদস্য সমীর বিশ্বাস, কল্যাণ দে, শম্পা দে, ববিতা কর্মকার, লিপিকা পাল এবং দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কর্ণধার কবি ঘোষ। পরিক্রমা, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং নাচ, গান, কবিতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি সুন্দর হয়ে ওঠে।
১৪ই মার্চ বনপাশ কিশোর বাহিনীর সুকান্ত শাখার উদ্যোগে বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়ে গেল। ঐ দিন একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় সামিল হয় শাখার ভাই-বোন, সংগঠক, অভিভাবক- অভিভাবিকা ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ। পদযাত্রার শেষে নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, আলেখ্য সহযোগে শুরু হয় বসন্ত বন্দনা। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কিশোর বাহিনীর মুখ্য সংগঠক সংগঠক শরৎ কুমার বাগ, সুকান্ত শাখার মুখ্য সংগঠক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ ও শাখার প্রধান পরিচালক অসীম ঘোষ। প্রাক্তন সংগঠক প্রদীপ্ত কুমার মণ্ডলের উপস্থিতি সকলকে আনন্দ দান করে। অভিভাবক-অভিভাবিকা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সমগ্র অনুষ্ঠান সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
১৫ মার্চ পলাশডিহা কিশোর বাহিনীর শাখাতে পালিত হলো “পলাশ উৎসব”। অনুষ্ঠানে শুরুতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এলাকা পরিক্রমা করে এবং সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাহিনী সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় গীতি আলেখ্য। বাহিনীর সদস্যরা পরিবেশন করে নৃত্য ও কবিতা। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সুমন দত্ত, অর্পিতা দত্ত, সম্পা দে, বরুণ দে সাধন সামন্ত, কল্যাণ দে ও মিহির মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার দুটি ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও সম্পাদকরা। অনুষ্ঠান শেষে সদস্য, সংগঠক সদস্য, অতিথি ও অভিভাবকদের নিয়ে নৈশ্য ভোজনের আয়োজন করা হয়।