পঁচাত্তরের স্বাধীনতা

কলমে সঞ্চিতা

তুমি কি কখনও সুদৃঢ় চিত্তে 

মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছো?

তবে তো তুমি আজও 

স্বাধীনতা চাও না!


তুমি কি কখনও

পথের ধারে বসে থাকা

অভুক্ত ছেলেটার

খিদে বুঝতে পেরেছো?

তবে তো তুমি 

পরাধীনতার প্রভাবটাকে

বোঝোনা!


তুমি কি কখনও

বেকার যুবকের আশাহত মনে 

উঁকি দিয়ে দেখেছো?

তবে তো তুমি পরাধীনতার

জ্বালাটুকু ছুঁতে চাও না!


তুমি কি প্রতিটি সকালে উঠে

কাঁধে ঝোলা নিয়ে, শ্রমিকভায়ের

অনিশ্চয়তাকে দেখেছো?

তবে তো তুমি স্বাধীন দেশের

বন্দী মানুষকে চেনো না!


তুমি কি কখনও প্রতিবাদী হয়ে

অন্যায় আর অসহায়তাকে

খণ্ড করতে চেয়েছো?

তবে তো তোমার 

অন্তর আজও

লড়াই করতে জানে না!


পঁচাত্তরের দরজাতে এসে

তেরঙা পতাকা হাতে নিয়ে আজ

স্বাধীনতা  কি  পেয়েছো?

আজ তবুও ধনী দরিদ্রের

বিভেদটা কেন ঘোচেনা?


আজও কেন তবে হানাহানি

আর হিংসা মনন জুড়ে?

আজও কেন তবে সকলক্ষেত্রে

জাতি ও ধর্ম আগে?

কেন তবে আজ জোটে না শিক্ষা?

পায়না বেকার কাজ?

কেন তবে আজ বেআব্রু হয়

নারীদের মান-লাজ?

কেন  আজ সব রক্ষকেরাই

সমাজ শোষণ চালায়?

শিক্ষা আজ বেসাতি করে,

মেরুদণ্ড ভাঙায়?


ভারতমাতা! জাগো তুমি আজ!

তোমার সমাজ আজো যে নিলাজ!

ধরো হাতে তুমি কঠোর চাবুক!

পাপের আঁধার দূরে সরুক, 

শিক্ষা আসুক, বিবেক জাগুক।

শান্তি আনুক, আলো জ্বলুক।

মুক্তি মিছিলে স্বাধীন গানে

পঁচাত্তরের সাফল্য আনে।