প্রকৃতির রূপ বদলের কালে
স্বস্তি আসে মনের কোলে
খরতাপের দহন জ্বালা সয়ে
টাপুর টুপুর বৃষ্টিধারা এলে—
নিভায় জ্বালা আষাঢ় শ্রাবণ জলে।
ধরনীর বর্ষণস্নাত বসনখানি
শরৎরাণীর মিঠে রোদে হাওয়ায়—
বসুমাতার কোমল অঙ্গ শুকায়।
মিঠে হাওয়ায় ভাসে আগমনীর সুর,
শুভ আলিঙ্গনের পূর্ণ অন্তপুর।
শরৎমেঘের মাদল বাজে
মস্ত আশা মনে জাগে,
চতুর্দিকে পূজো পূজো সাজ
মনে যে তাই জাগে নব আশ।
মনোবীণার তারে তারে বাজে তারই পূর্বাভাস।
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে ফাঁকে অরুণ আভা,
প্রকৃতি অঙ্গনে তাই দারুণ শোভা।
শরতের শিশির ভেজা প্রভাতবেলা,
শুভ্র ফুলে ছয়লাপ ঐ শেফালি তলা।
রাশি রাশি ফুলের শয্যা মাঝখানে
বিষন্নগাছ দাঁড়িয়ে থাকে বিষন্নমনে।