শান্তিপুরের কান্তি খুড়ো সন্ধে হলেই রোজ
টর্চ জ্বালিয়ে এদিক ওদিক করেন ভুতের খোঁজ।
শ্যাওড়া গাছের নিচে বসে থাকেন অপেক্ষাতে
শাঁকচুন্নি দেখতে পেলেই ধরবেন হাতেনাতে।
কিন্তু ভুতের পান না দেখা এমনই মন্দ কপাল
ভুত পেত্নী লুকিয়ে বেড়ায় এ ডাল থেকে সে ডাল।
অবশেষে সেই দিনটা এলো একদিন সত্যি
বেলগাছটার তলায় দেখেন দাঁড়িয়ে ব্রহ্মদত্যি।
খড়ম পায়ে নাকি সুরে বললে বেটা পাজি
ভুত ধরবার শখ হয়েছে মটকাবো ঘাড় আজি।
ভয় না পেয়ে কান্তি খুড়ো এগিয়ে যান তবু
ভুত ধরবার এমন সুযোগ ছাড়া যায় কি কভু?
সাহস দেখে ব্রহ্মদত্যি ভয় পেয়ে যায় চরম
একলাফেতে মগডালেতে রইলো নিচে খড়ম।
ভুতের জন্মে এমন মানুষ দেখি নাই তো আগে
সত্যি সত্যিই ভরবে ঝোলায় পেলে একবার বাগে।
গাছের নিচে কান্তি খুড়ো উপরে ব্রহ্মদত্যি
গল্পখানা যা বললাম এক্কেবারে সত্যি।
বিশ্বাস না হলে একবার বেলতলা তে গিয়ে
চক্ষু কর্ণের বিবাদভঞ্জন আসুন না মিটিয়ে।