এবারে নিজের ছোটো বইয়ের খুলে বসে দপ্তর
মোটা মোটা ভারী ইংরাজী বই হাতে নিল তারপর।
কবিরাজি ঔষধের তালিকা তাও আছে তার কাছে
পুরাতন পাঁজি ১৩০৩ - এর বহুদিন ধরে আছে।
এক পাতা ছেঁড়া পাঁচালী রয়েছে লেখক শ্রী দাশু রায়,
সে এখন আছে তৃতীয় ভাগেই তাকে সামলানো দায়।
না না স্থান থেকে চেয়ে চেয়ে সে তো পেল এই বইখাতা,
পড়তে পারে না দুঃখ তো নেই রোজ খুলে দ্যাখে পাতা।
প্রদীপ উসকে পাতা উলটিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খায় রাতে
এমন সময় মা যে ঘরে এল একবাটি দুধ হাতে।
অপু দ্বিরুক্তি না করেই আজ দুধ খেতে শুরু করে,
মুখ থেকে বাটি নামিয়েছে যেই মা যে এসে হাত ধরে।
বলল, দুধটা নাও খেয়ে নাও নয় বাঁচবে কী খেয়ে
দুধের বাটিটা মুখেই তুলল মা-কে তার কাছে পেয়ে।
চুমুক দিল না হাতখানা তার ভয়েই সে কাঁপছিল,
বাটিটা নামিয়ে একবার শুধু মাকে তার দেখে নিল।
মা বলল, জিব কামড়ে তোমার কষ্ট হচ্ছে বুঝি
কী হল রে বাছা কখন কী হল খুলে বল সোজাসুজি।
মায়ের এ কথা শেষ না হতেই অপুর চোখেতে জল
দিদির জন্য মন ভালো নেই কোথা আছে তাই বল।
সূত্রঃ আম আঁটির ভেঁপু।